ইতিহাস ফিরে আসে!
মুফতি আব্দুল্লাহ মীর
প্রিন্সিপাল, মাদ্রাসাতু আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ)
কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।
সাড়ে চৌদ্দশত বছর আগে ইসলামের দাওয়াত নিষিদ্ধ করেছিল মক্কার লোকেরা!
মোড়ে মোড়ে লোক দাঁড় করিয়ে নবীজীর দাওয়াতের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছে।
নাচ গান আর বেশ্যাবৃত্তিকে প্রমোট করে মানুষকে দ্বীন থেকে দূরে সরাতে চেষ্টা করা হয়েছিল।
কদর ছিল মুশরিকদের। বিধর্মীর। লাঞ্ছিত ও নিপিড়ীত ছিল দ্বীনের দাঈরা।
কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী। আল্লাহ তাআলা তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করেছেন। ইসলামের দাওয়াত আরো বেগবান হয়েছে। পৌঁছে গেছে প্রতিটি কর্ণে। প্রতিটি জনপদে। পাপাচারমুক্ত এক আদর্শ সমাজ নির্মিত হয়েছিল আরব ভূখণ্ডে।
সময় পাল্টেছে। ইতিহাস ফের কড়া নাড়ছে।
জাযিরাতুল আরবে মুশরিকদের আনাগোনা বেড়েছে। ফ্যাশন শো, সিনেমা হল আর নর্তকীদের উদ্দাম শরীর প্রদর্শনী হচ্ছে নবীজীর স্মৃতিধন্য মাটিতে। পাপের এক স্বর্গরাজ্য হবার দ্বারপ্রান্তে আলে সৌদের কুক্ষিগত জমিন।
কদর বেড়েছে ইহুদীদের। ঘাঁটি মজবুত হচ্ছে খৃস্টানদের।
নিষিদ্ধ হচ্ছে নববী দাওয়াত ও তাবলীগ।
আমরা আশায় বুক বাঁধছি। ইতিহাস তার পুরো শামিয়ানা নিয়ে ঢেকে ফেলছে পরিবেশ। আবার ফিরে আসছে পূর্ণ উদ্যমে।
ইনশাআল্লাহ ইসলামের দাওয়াত বন্ধ হবে না। বরং আরবের প্রতিটি ঘরে। প্রতিটি বসতীতে পৌঁছে যাবে। আরো অকল্পনীয় দ্রুততায়। আরো অস্বাভাবিক ক্ষিপ্রতায়। ধ্বংস হয়ে যাবেই পশ্চিমাদের তোষণকারী আলে সৌদ। ইসলামের আলো। দাওয়াতের সূর্যালো আলোকিত করবেই প্রতিটি আরব জনপদ।
আমিতো শুনতে পাচ্ছি সেই বিজয়ের পদধ্বনি। আপনি শুনতে পাচ্ছেনতো?